1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে সাবেক রেল মন্ত্রীর তিন দিনের রিমান্ড পঞ্চগড়ে সমতলের অর্ধেক চা যায় না নিলাম বাজারে ভোটের সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সরাসরি সম্পৃক্ত – পঞ্চগড়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ রাজধানীর দুই পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে প্রায় ৬ঘন্টা পর ঘরে ফিরলেন আন্দোলনকারীরা পঞ্চগড় বিচারকের অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ,  আল্টিমেটাম পুরান ঢাকার মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার সহকারী শিক্ষকদের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত স্কুলে পাঠদান ব্যহত নেকড়ে আতঙ্কে লালমনিরহাট লামায় জীনামেজু অনাথ আশ্রমে কম্বল বিতরণ করেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২
  • ৩১০ ০৫ বার পঠিত

অনলাইন ডেক্স -ঃ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার দিবাগত রাত (২৩ জুলাই) আনুমানিক রাত ২টায় (বাংলাদেশ সময়) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

শনিবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংসদ সচিবালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি (পিএস টু ডেপুটি স্পিকার) মোঃ আব্দুল মালেক।

এ ছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী সৈকত। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ২টার দিকে (নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। বিষয়টি আমি ফাহাদ রাব্বী সৈকত আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করছি।’

ডেপুটি স্পিকার দীর্ঘ ৯ মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা ও একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ‘ল’ জারি করলে তার বিরোধিতার আন্দোলনে নেমে প্রথম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।

২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এর আগে, ২০২০ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদ্য পরলোকগত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।

মরহুম ডেপুটি স্পিকার তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ