রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধি -ঃ- রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মাঠে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার নুরে আলম মিয়া।
তিনি বলেছেন, রংপুর সিটিতে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন হবে মডেল নির্বাচন। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুর সিটি নির্বাচন ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আরএমপি কমিশনার।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে নুরে আলম বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মাঠে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যদের নিরপেক্ষভাবে সার্ভিস রুল মেনে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটালে তার দ্বায়ভার প্রতিষ্ঠান নেবে না।
আরএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতি ২টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের টিম থাকবে।
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব/পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ৪ জন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, রংপুর সিটির নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছে ১ জন। ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৪৯টি কক্ষে তারা ভোট দেবেন।
নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থাকবেন এক হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার থাকবেন ২ হাজার ৬৯৮ জন। ইভিএমের মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। কেন্দ্রগুলো সিসিটিভির আওতায় থাকবে।