মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ আমরা স্পষ্ট করে বলি,এই পঞ্চগড় নিয়ে যদি কোন বৈষম্য হয় তাহলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল,ভুটান এই চার দেশের যে সীমান্ত, এই চার দেশের যে গলা। এই চার দেশের যে নিঃশ্বাস, এই চার দেশের যে হৃদপিণ্ড সেই হৃদপিণ্ড তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা আমরা চিরতরে বন্ধ করে দিব।একটা জিনিস মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে দেশের এক পাশ দিতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে গলাচিপে ধরার মতো একটি জায়গায় দিয়েছে।
আমরা যদি একবার রাস্তায় নামি তাহলে সেই অপশাসন দুঃশাসন সিন্ডিকেট আর চাঁদা বাজদের সমুলে উদপাটন করব শুক্রবার(১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় মকবুলার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের আয়োজনে, গণ অভ্যুত্থানে প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দূর্নীতি, চাঁদা বাজি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিকের মত বিনিময় সভায় মন্তব্য করেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন-পঞ্চগড়ের মানুষ মনে রাখবেন, আমরা আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটি কথা বলতে চাই আজকের পর থেকে কোন মানুষ কে পোশাক দেখে বিচার করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোন মানুষকে দাড়ি-টুপি দেখে বিচার করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোন মানুষকে দল দেখে বিচার করা যাবে না,দেখতে হবে তার কাজ কেউ যদি অন্যায় কারী হয়, চাঁদাবাজ হয়,কোন সিন্ডিকেট লালন করে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার কারি হয়।সে যেই দলেরই হোক তাদের আশ্রয়দাতা প্রশ্রয়দাতা সবাইকে আইনের আওতায় আনে কেরানীগঞ্জে পাঠাতে হবে।
সমন্বয়ক বলেন-আমাদের জায়গা থেকে আমরা যদি স্পষ্ট করে বলি,পঞ্চগড় কে মেলাবার বঞ্চিত করা হয়েছে, নানা কথা বলে। আমরা আজকে থেকে ১০ বছর আগে যখন ঢাকা গিয়েছি, তখনই ১৪ ঘণ্টায় পৌঁছেছি। এখনো ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছি আমরা এই ফ্যাসিস হাসিনা সহ সকলকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই পঞ্চগড় থেকে ঢাকা সবচেয়ে বেশি দুরত্ব।আপনার মন চাইল মন্ত্রী পরিবর্তন হয়ে গেল,ট্রেনের জায়গায় নসিমনের বগি দিয়ে দিবেন।
ছাত্র জনতার মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় ১১ সমন্বয়ক,সহ সমন্বয়ক সহ,পঞ্চগড় জেলার সমন্বয়ক ও ছাত্র জনতা উপস্থিত ছিলেন।