মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স জোসনার বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে এম আর, ডিএন সি ও গর্ভপাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও চিকিৎসা নিতে আসা ভর্তি রোগীদের সাথে অসদাচরণসহ নিজের ৫ তলা আলিশান বাড়িঘর থাকার পরেও প্রভাব খাটিয়ে স্বামী নামে হাসপাতালের বিতর টিনসেট ঘর নিয়ে বছরের পর বছর অবৈধ বানিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন তিনি।
জানাগেছে নদীমাতৃক এই এলাকার মানুষেমানুষের চিকিৎসা সেবা নেওয়ার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই হাসপাতালে কোন প্রসূতি গৃহবধূ ডেলিভারি করাতে আসলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র গর্ভপাতের নির্দিষ্ট (লেভার) কক্ষে না নিয়ে দালালদের মাধ্যমে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে নিয়ে যায় জোসনার স্বামীর নামে দখলকৃত হাসপাতালের বিতরের ওই ঘরে। সেখানেই প্রসূতিদের গর্ভপাত করান নার্স জোসনা।
অবৈধ ভাবে দালালদের মাধ্যমে গোপন বাসায় নিয়ে তরুণীদের ডিএনসি ও এম আর করানোর সময় ধরা পরেন হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে।তাত্ক্ষণিকভাবে বিষয়টি দামাচাপা দেন জোসনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হাসপাতালের একজন বলেন নাস জোসনা দীর্ঘদিন পর্যন্ত হাসপাতালের পিছনে খালপাড়ের একটি টিনসেট ঘরে এমআর ও ডিএনসি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। এধরণের কাজ অবৈধ হলেও কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি এই কাজ করে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন আগে বিষয়টি টিএইচ স্যারের নজরে আসলে নার্স জোসনাকে ডেকে নিয়ে রাগারাগি করেন।
অভিযোগ রয়েছে প্রায় ১৩ বছর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার লাগাম টেনে ধরার মতন কেউ কি নেই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ?
যত বিতর্কিত কর্মকান্ড- আছে কোন কিছুই বাদ রাখছেন না তিনি। ভর্তি রোগিদের সাথে অসাদাচরন এবং হাসপাতালের নার্সেদের সাথে খারপ আচরণ তার নিত্যদিনের ঘটনা। এসম্ত বিসয় নিয়ে কেউ মুখ খুললে তাকে হতে হতো হেনস্তা। জোসনার বাড়ি হাসপাতালের সামনে হওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
সাবেক এমপি পংকজ নাথের সেন্হধন্য পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন আমুর আপনার খালাতো বোন হওয়ায় আমুর প্রভাব খাটিয়ে বীরদর্পে চলেন নার্স জোসনা।
এ ছাড়াও হাসপাতালের সামনে পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নার্স জোসনার বড় ভাই সে সুবাদেও সুবিধা ভোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইমরানুর রহমান জানান জোসনার স্বামীর নামে ওই ঘরটি স্বীকার করে বলেন
নার্স জোসনার বিরুদ্ধে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়ে এধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য তাকে বলা হয়েছে।
পরবর্তীতে হাতেনাতে ধরতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় অভিযুক্ত নার্স জোসনার সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়, তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।