1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে সাহিত্য  আসর  সংগঠনের আত্ম প্রকাশ আজও গ্রেফতার না হওয়ায় মোক্তারের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ছাত্রজনতা যত দ্রুত সম্ভব আমরা চিনিকল চালুর চেষ্টা করছি – শিল্প উপদেষ্টা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী আলোয়াখোয়া রাশ মেলার উদ্বোধন পঞ্চগড়ে শিশু-কিশোর উৎসব মুন্সীগঞ্জে ভুয়া টিকাকার্ড বানিয়ে আদালতে হলফনামা দাখিল স্বাস্থ্য সহকারী সহ ৩ জনের অর্থদন্ড বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড স্ত্রীর গলায় অস্ত্রাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর হাতে স্বামী নুরনবী আটক গলাচিপায় নকল ভেজাল কৃষি উপকরনে ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত আগামী ১৪ই নভেম্বর পবিত্র শ্যামপুর শরিফের ঊরুশ মোবারক পালিত হবে

কেরাণীগঞ্জের আদ দ্বীন হাসপাতালে একরাতের তীক্ত অভিজ্ঞতা।

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৩ ০৫ বার পঠিত

এক ভুক্তভোগী রোগীর অভিব্যক্তিঃ


৪।১০।২৪ঃ  রাত ১২ টায় ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষে বসুন্ধরা রিভার ভিউ’র নিজ বাসায় ফিরে দেখি স্ত্রী পেটের ব্যথায় কাতরাচ্ছে। বাসার পাশেই আদ দ্বীন হাসপাতাল। গুরিগুরি বৃষ্টি পড়ছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে একটি অটো পেলাম। ইমার্জেন্সীতে যাওয়ার পরে ডাক্তার সাহেব সাথে সাথে রোগী দেখে একটি ভর্তি শ্লিপ ধরিয়ে দিলেন। ২০০/= টাকা কার্ড ও ৮০০ /= টাকা ভর্তি ফি। পকেটে টাকা আছে মাত্র ১২০০/=।  ভর্তি কাউন্টারের ভদ্রমহিলা টাকা গুনছেন,  তো গুনছেন। ওনার ক্যাশ মিলছিল না।  বিকাশে টাকা দেয়ার ব্যবস্থা নেই। রাত তখন ১২.৩০টা। রোগী  ইমার্জেন্সীতে ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
উনাকে একটু তাড়াতাড়ি ১০০০/=  টাকা জমা নিয়ে ভর্তি করে নিতে বলায়, বললেন দেখছেন না টাকা গুনছি। অগত্যা ৩০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পরে উনি সমস্ত ডাটা নিয়ে ভর্তি করলেন। দৌড়ে গেলাম ইমার্জেন্সীতে। ডাক্তার ঔষধ লিখলেন। রোগী নিয়ে ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডের বেডে দিয়ে, গেলাম আদ দ্বীনের নিজস্ব ফার্মেসিতে ঔষধ কিনতে।  এখানেও বিকাশে টাকা নিবে না। রাত তখন ১.০০ টা।  পকেটে ঔষধ কেনার টাকা নেই। হাসপাতালের সামনে বিকাশের দোকান খোলা নেই। এক অটো ড্রাইভার বললেন হাসনাবাদ বিকাশের দোকান খোলা পেতে পারেন। তৎক্ষণাৎ ঐ অটোতে হাসনাবাদ গিয়ে একটি বিকাশ এজেন্টের দোকান খোলা পেলাম। ৪০০০/= টাকা উঠিয়ে আবার হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসিতে ১৪০০/= টাকা ঔষধের  বিল পরিশোধের পরে বলে,  স্যালাইনটি বাহির থেকে কিনতে হবে।  রাত তখন ১.৩০। বাহিরের সব ফার্মেসি বন্ধ। কোথায় পাবো স্যালাইন? দৌড়ে গেলাম ইমার্জেন্সী ডাক্তারের কাছে বিকল্প কোনো ঔষধের ব্যবস্থা আছে কী না?  ওনারা নিজেদের মধ্যে  কথোপকথনের পরে বললেন ডেঙ্গু রোগীর জন্য কয়েকটি স্যালাইন  এখানে আছে। দিতে পারি যদি সকালে একটা কিনে দেন। আমি রাজি হলাম।পরে বললাম এটার দাম যেহেতু ১০০/= টাকা, আমি আপনাদের মূল্যটা দিয়ে দেই । ওনারা রাজি হলেন এবং স্যালাইন দিলেন। স্যালাইন নিয়ে দৌড়ে গেলাম ওয়ার্ডে রোগীর  কাছে।   মহিলা ওয়ার্ড, রাতে রোগীর কাছে পুরুষ থাকা যাবে না তাই একজন নিকটাত্মীয়  মহিলা ম্যানেজ করে তাহাকে রোগির কাছে রেখে রাত ২.৩০ টায় বাসায় ফিরলাম। সকাল ৮.০০ টায় রোগীকে রিং দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এখন কেমন আছো? উত্তরে বললো তাড়াতাড়ি এখান থেকে বাসায় নিয়ে যাও। তড়িঘড়ি করে উপস্থিত হয়ে যা শুনলাম তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম। রাতে জ্বর অনুভব করায় ঔষধ দিবে কী না জিজ্ঞাসা করলে, সিস্টার বলে আপনার চলমান স্যালাইন বন্ধ করে দিবো। গায়ে দেয়ার কোনো কম্বল বা চাদর না দেয়ায়  রোগী সারা রাত শীতে কাতরাচ্ছিল।  মশারির স্ট্যান্ড থাকা সত্বেও মশারি দেয় নাই বরঞ্চ আয়া মশারি টানিয়ে ঘুমিয়েছে। অথচ এই হাসপাতালে অনেক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। রাতে পাশের  বেডে রোগী আসলে তাকে বিছানার চাদর না দিলে তাহার স্বামী  ইমার্জেন্সীতে গিয়ে চাদর ম্যানেজ করে। এমন কী ঐ রোগী রাতে বাথরুমে যেতে আয়ার সহযোগীতা চেয়েও পায়নি। পরবর্তীতে অন্য একজন এটেনডেন্টের সহযোগীতা নিয়ে সে বাথরুমে যায়। হাসপাতালের ফ্লোর যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন কিন্তু বাথরুমে স্যান্ডেল না থাকায় রোগীদের প্রচণ্ড অভিযোগ রয়েছে  অথচ ডাক্তাররা সর্বত্র স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে হাটে। সকালে ডাক্তার সাহেব রাউন্ডে আসলে আমি রাত্রিকালীন নার্সের রোগীর সাথে অসদাচরণ  জানাতে চাইলে তিনি ম্যানেজারকে জানাতে বললেন। ব্যথা কম অনুভব করায় মুখে খাবার ঔষধ লিখে দিতে ডাক্তার সাহেবকে অনুরোধ করি এবং রিলিজ দিতে বললাম। অধিকাংশ রোগীই আদ দ্বীন হাসপাতালের কিছুসংখ্যক স্টাফদের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট যা একজন রোগীর গার্ডিয়ান হিসেবে জেনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার চেষ্টা করলাম মাত্র।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ