1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে সাহিত্য  আসর  সংগঠনের আত্ম প্রকাশ আজও গ্রেফতার না হওয়ায় মোক্তারের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ছাত্রজনতা যত দ্রুত সম্ভব আমরা চিনিকল চালুর চেষ্টা করছি – শিল্প উপদেষ্টা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী আলোয়াখোয়া রাশ মেলার উদ্বোধন পঞ্চগড়ে শিশু-কিশোর উৎসব মুন্সীগঞ্জে ভুয়া টিকাকার্ড বানিয়ে আদালতে হলফনামা দাখিল স্বাস্থ্য সহকারী সহ ৩ জনের অর্থদন্ড বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড স্ত্রীর গলায় অস্ত্রাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর হাতে স্বামী নুরনবী আটক গলাচিপায় নকল ভেজাল কৃষি উপকরনে ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত আগামী ১৪ই নভেম্বর পবিত্র শ্যামপুর শরিফের ঊরুশ মোবারক পালিত হবে

রংপুরে লাগামহীন  নিত্য পণ্যের দাম দিশেহারা শ্রমজীবী মানুষ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪০ ০৫ বার পঠিত

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুরঃ নিত্য পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই চলেছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ দিশেহারা । ১‌‌৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রংপুর জেলার সিটি বাজার, বুড়ির হাট, গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজার, মহিপুর বাজার, গজঘন্টা বাজার সহ বিভিন্ন  বাজার ঘুরে দেখা যায় পূর্বের থেকে অনেক চড়া দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের ও
এ সময় খুচরা মূল্যে আলু পতি কেজি ৭০ টাকা , বেগুন প্রতি কেজি ৯০ টাকা ,পেঁপে পতি কেজি ৬০ টাকা , শসা প্রতি কেজি ৮০টাকা , জিংগা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দোন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা , ভেন্ডি প্রতি কেজি ৫০ টাকা , মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা , লাউ ছোট প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ বড় প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিপিস ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ।অন্যদিকে শুকনা বাজার ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা , রসুন প্রতি কেজি ২৪০ টাকা , গুড়ো হলুদ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, গুড়া মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা , মুসুরির ডাউল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বুটের ডাউল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা , জিরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা , সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা , সরিষার তেল প্রতি কেজি ২৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।এ সময় বাজারের ক্ষুদ্র  ব্যবসায়িকদের সাথে কথা বললে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িকরা বলেন । এখানে আমাদের কারো কিছু করার নাই আমরা  পাইকারি মার্কেট থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসি ওখান থেকে যে দর নির্ধারণ করা হয় তার থেকে সীমিত লাভে আমরা এখানে খুচরা মূল্যে বিক্রয় করি ।আমরা পাইকারি বাজারে কম দামে ক্রয় করতে পারলে  আমরা ক্রেতাদের কাছে ও কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারি । অন্যদিকে চাউল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে চাউল ব্যবসায়িকরা বলেন। আগে প্রতি ৫০ কেজি চাউলের বস্তা আমরা বিক্রয় করতাম ১৬৫০ থেকে ১৭০০ টাকায়, এখন আমাদের বাজার মূল্য ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে কারণ পাইকারি মার্কেটে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের কিছুই করার নাই আমরা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ক্রয় করি ঠিক তেমনভাবে সীমিত লাভে খুচরা বাজারে বিক্রয় করি ।এ সময় সিটি বাজারে অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তাদের ভিতর একজন দিনমজুর এর সাথে কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার সংসারে আমরা পাঁচজন তিনটা ছেলে পড়াশোনা করে আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজন  আমার সংসারে উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি আমি প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না মাসের ভিতর ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ পাওয়া যায়। দৈনিক মজুরি পায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা তারপর ও এখন বৃষ্টির সময় মহাজনেরা কাজ খুবই কম  করাই কোন সপ্তাহে দুইদিন কোন সপ্তাহে তিন দিন কাজ পাই নিত্য পণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছে যার কারণে খেয়ে না খেয়ে কোনরকম জীবন যাপন করছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ