ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি বিস্তৃত। এই সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য প্রজাতির মাছ, যা আমাদের দেশের অর্থনীতি ও খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইলিশ থেকে শুরু করে চিংড়ি, রুপচাঁদা থেকে কাঁকড়া – প্রতিটি প্রজাতি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব বহন করে। উন্নত মৎস্য আহরণ পদ্ধতি, পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ, এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সামুদ্রিক পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি। আমাদের সামুদ্রিক মাছের বৈচিত্র্য শুধু আমাদের খাদ্যতালিকাকেই সমৃদ্ধ করে না, এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও পরিচয়েরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আসুন, আমরা সকলে মিলে এই অমূল্য সম্পদকে রক্ষা করি এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক ঐতিহ্য রেখে যাই।
হাঁ সেই বিষয়গুলি বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌছে দিতে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন ছেলে নাহিদ হাসান । সে অনেকদিন ধরে ফিসিং জাহাজে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এলাকার সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে এবং সামদ্রিক মাছের চাহিদা মেটাতে কোটচাঁদপুর শহরের প্রানকেন্দ্র ব্রীজঘাট চৌরাস্তা মোড়ে গড়ে তুলেছেন নিহান সী ফিস কর্নার। তার শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ, আইল্যা, রূপ চাঁন্দা, কালো চাঁন্দা, শুরমা, টুনা, টাইগার চিংড়ি, হোয়াইট চিংড়ি, লবেষ্টার চিংড়ি, ব্লুসুইং, কাকড়া, চন্দনা ইলিশ, সকল প্রকার পোয়া, লাল পোয়া, ভোল পোয়া, সাগরে বাইং মাছ, সেলমন ফিশ, বাইন্যা, বুলেট টুনা, কালা ভোল, সল ফিশ, মায়া মাছ, ইস্কুট ফিশ, অক্টপাস, রাঙগা চোখা, কোরাইন সহ নানা প্রকার সামুদ্রিক মাছ।
সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ উপকারী। মস্তিকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নিউরোলজিস্টদের মতে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিট থাকে। আর এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সামুদ্রিক মাছ মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এতে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়োডিন গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে। জয়েন্ট পেইন সারাতে রিউমাটয়েড আর্থাইটিসে আমাদের অস্থিসন্ধীগুলো ব্যাথাসহ ফুলে যায়। রেগুলার সামুদ্রিক মাছ খেলে রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের উপসর্গ কমে আসে। সহজে হজমযোগ্য আমিষ সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসে উপকারী ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছে থাকে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক এবং পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের জন্যে আয়োডিন অত্যাবশ্যকীয়, এবং সেলেনিয়াম একধরণের হজমশক্তি তৈরি করে যা আমাদেরকে ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়। এ ছাড়াও সিলোনিয়াম শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
তাই আপনার প্রয়োজনে সংগ্রহ করতে পারেন কোটচাঁদপুর নিহান সী ফিস কর্নার থেকে আপনার পছন্দের সামদ্রিক মাছ। আর বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 01996616539 অথবা 01758974415 নাম্বারে।