মোঃ আবু রায়হান, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় স্কুলে স্কুলে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর সকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
এদিন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে উপস্থিতি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, সিনিয়র স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা পুলক চক্রবর্তী, মেডিকেল অফিসার জয়ন্ত সরকার, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুর রহমানসহ অনেকে।
এদিকে রবিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সকালে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ডাঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিৎ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম, শামীমা আক্তার, আসমাতারা জাহান, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, মোঃ নজিবুল ইসলাম, গীতা রানী সাহা, আজহারুল ইসলাম, মৃনাল কুমার বিশ্বাস, অরুন কুমার মন্ডল, স্বাস্থ্যকর্মী রণজিৎ কুমার ঘোষ, আসাদুজ্জামানসহ অন্যরা।
অনুরূপভাবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভালুকা চাঁদপুর মডেল হাইস্কুল, নবারুণ গার্লস হাইস্কুল, টাউন গার্লস হাইস্কুল, আব্দুল করিম গার্লস হাইস্কুলসহ সকল জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ডাঃ রাশেদ উদ্দীন মৃধা জানান, এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২৪ নভেম্বর থেকে মোট ১৮ কর্মদিবস চলবে। এর মধ্যে প্রথমে ২৪ থেকে ৭ নভেম্বর ১০ কার্যদিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্রে ৯ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর ৮ কর্মদিবস কমিউনিটির অস্থায়ী এবং স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলবে।
টিকাদান সেশন ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সাতক্ষীরা জেলার ১৭৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৬১৪টি কেন্দ্রে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ৮৫ হাজার ১০৭ এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১৯০৪টি কেন্দ্রে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৩ হাজার ৩৪৪ জন মোট ৮৮ হাজার ৪৫১ মেয়েকে এক ডোজ করে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। জেলায় স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ৮টিসহ মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩০৭টি।