গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জেলা শহরের সেভেন্থ ডে অ্যাডভেন্টিস্ট চার্চের আওতাভুক্ত অ্যাডভেন্টিস্ট ইন্টারন্যাশনাল মিশন স্কুলে ভর্তি বাবদ এবার সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ১ শত টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের দাতা সংস্থা এবং দাতাগনের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটি বছরের শুরুতে প্রথম শ্রেনী থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভর্তিকালে স্কুল উন্নয়ন ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা আদায় করছে। এছাড়াও অ্যাডমিশন ফি বাবদ ২৫০০ টাকা,রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ ২৩০০ টাকা,বই বাবদ ১৪৫০ টাকা,নোট বুক বাবদ ১১৫০ টাকা,স্কুল ড্রেস বাবদ ১৩০০ টাকা,স্পোর্টস বাবদ ৬০০ টাকা, আইডেন্টিটি কার্ড বাবদ ২০০ টাকা এবং সিকিউরিটি বাবদ ৬০০ টাকা আদায় করছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছর এ যাবৎ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় সাড়ে পাঁচশত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। শুধু ভর্তি বাবদ প্রতিষ্ঠানটিতে আয় হয়েছে প্রায় ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
ইংরেজি ভার্সন নাম এবং উন্নত অবকাঠামো হওয়ায় বিভিন্ন ধর্ম ও উচ্চ শ্রেনী ও পেশার মানুষ ভবিষ্যৎ চিন্তায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে তাদের শিশুদের ভর্তি করছে। সুযোগে শিক্ষা প্রদানের নামে কতিপয় স্থানীয় অসাধু কর্মকর্তা ব্যবসা করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লাবনী মারান্ডি বলেন,আমরা আমাদের অবকাঠামোগত ব্যয় এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার স্বার্থে ভর্তি বাবদ ১৩১০০ টাকা শিক্ষার্থী প্রতি নির্ধারণ করেছি। যথাযথ শিক্ষা প্রদান আমাদের মুল লক্ষ্য। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হলে অ্যাডভেন্টিষ্ট ইন্টারন্যাশনাল মিশন স্কুলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি দানিয়াল ফলিয়া বলেন,এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শাখা বিভিন্ন দেশে রয়েছে। দাতাদের অর্থায়নে পরিচালিত হলেও স্কুল উন্নয়ন ফিসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায় করা হয় মান সমুন্নত রাখতে।
ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনা জানানো হলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জোসনা খাতুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখে আমি যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।