মিরু হাসান,স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শেরপুরে জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। একই সমাবেশে স্থানীয় সমস্যা শেরপুর উপজেলা ও পৌরসভার অব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলাসহ নিরাপদ সড়কের দাবিও জানানো হয় ওই কর্মসূচিতে। সোমবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌথ উদ্যোগে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. ফেরদৌস, জাতীয় নাগরিক কমিটি শেরপুর উপজেলার প্রতিনিধি রাশেদ সাদাত, জিন্নাত আলী, নাইমুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মামুন, জাহিদ, প্রত্যয়, ফাহিম, তুষার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা জুলাই গণহত্যার বিচার দাবি জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিচারে জাতি ঐক্যবদ্ধ। বিচার ও সংস্কার সম্পন্ন করার পর জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো সমঝোতা মেনে নেওয়া হবে না।
বক্তারা স্থানীয় নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে আরো বলেন, শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আশিক খান পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে পৌরসভার নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যুর সনদ ও নাগরিকত্ব সনদের জন্য হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এছাড়া পৌরসভায় কোনো বাস-ট্রাক ও অটোরিকসার টার্মিনাল নেই। এরপরও পৌরসভার উন্নয়নের কথা বলে কাগজে কলমে টার্মিনাল দেখিয়ে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে করে পরিবহনগুলো থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, ঢাকা- রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নতিকরণ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হতে চললেও ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস ও ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অথচ প্রশাসনের সেদিকে কোনো নজর নেই। এদিকে এই উপজেলার দশটি ইউনিয়নে টাকার বিনিময়ে গ্রাম পুলিশ ও প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলের ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতির অনুকুলে জলমহাল ইজারা প্রদানে একটি মহল ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তাই আগামি সাতদিনের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার হুঁশিয়ারী দেন তাঁরা।