বিশেষ সংবাদদাতাঃ গায়ের জোর ও ক্ষমতার দাপটে লাকসামের ঐতিহ্যবাহী নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘরের পূর্ব দিকের ঐতিহাসিক প্রবেশপথটি ওয়াল করে বন্ধ করে দেয় বহুল আলোচিত ভূমিদস্যু ছৈয়দ আলীর ছেলে খলিল। ছবিতে খলিলের সাথে তার ভাই আরমান ও সোহেলকেও দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টি জানতে পেরে এসিল্যান্ড সিফাতুন নাহার ঘটনাস্থলে এসেও তাদেরকে উপস্থিত পায়। তিনি এহেন কাজের জন্য তাদেরকে ভৎসনা করেন। যা গত ২মার্চ ২০২৫ তারিখে ৭৩ নম্বর স্মারকে আদালতে প্রেরিত এসিল্যান্ড দপ্তরের এক প্রতিবেদন এবিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশে নবাব ফয়জুন্নেছা জাদুঘরের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে আসেন। এসময় উপস্থিত ফজলে রহমান চৌধুরী আয়াজ সহ উপস্থিত লাকসামের সাংবাদিকেরা নবাব বাড়ি পূর্ব দিকে ঐতিহাসিক গেটটি খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে মাদ্যপ অবস্থায় ইব্রাহিম খলিলের উপস্হিতি।
নবাব বাড়ির পূর্ব দিকের বন্ধ গেটটি খুলে দেওয়ার দাবি করায় তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক এম. এস.দোহাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। উপস্থিত সাংবািকরা সাথে সাথে এর প্রতিবাদ জানান। ফারুক আল শারাহ, আব্দুর রহিম, শাহ নুরুল আলম, নাজমুল হাসান সহ উপস্থিত সাংবাদিকেরা সমবেতভাবে প্রতিবাদ করলে ঘটনাস্হল থেকে সটকে পড়ে সিদ্ধি খলিল । যা ঘটনাস্হলে উপস্হিত থান প্রশাসন বিষটি আমলে নিয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কায়ছার হামিদ পূর্ব নির্ধারিত একটি বিশেষ প্রোগ্রামে আসেন নবাব ফয়জুন্নেছা জাদুঘরে। নবাব পরিবারের সদস্য ফজলে রহমান চৌধুরী আয়াজ ও লাকসামের সাংবাদিকদের সাথে জাদুঘরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনারত। হঠাৎ মোবাইল হাতে উসকো খুসকো চেহারায় সিদ্ধি খলিলের প্রবেশ।
তিনি মোবাইলে সবার কথোপকথন ও ছবি তোলাশুরু করেন। ইউএনও কায়ছার হামিদ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন। একপর্যায়ে সিদ্ধি খলিল ক্ষমা প্রার্থনা করে মোবাইলে ধারনকৃত ছবি ও ভিডিওগুলো ডিলিট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
উল্লিখিত ঘটনাগুলোর নায়ক ইব্রাহিম খলিল লাকসাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদ্য ঘোষিত যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। বিগত ১৬ বছর তার মামাতো ভাই যুবলীগ সভাপতি আসাদের সাথেই ছিলেন। তার ফেইসবুক প্রোফাইল ঘেটে বিগত দিনে বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্টতার কোন ছবি পাওয়া যায়নি।গত মাসে ফেইসবুকে বিএনপির একটি ছবি পোস্টের মাধ্যমে তার যুবদলে আত্মপ্রকাশ।
এসব সিদ্ধি খলিলদের কারণেই লাকসামসহ সারাদেশে তৃণমূলে বিএনপি’র ভাবমূর্তি ও সুনাম ভুলন্ঠিত হচ্ছে। এলাকাবাসী তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও আইনের আয়তায় নেওয়ার দাবি জানান।