নাজমুল হক, সম্পাদক ও প্রকাশক -ঃ ১৭ মার্চ হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস। এই দিনটিতে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিবছর ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। তবে এই দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী নামে পরিচিত রয়েছে।
১৭ মার্চ যেহেতু জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী সেহেতু এই দিবসটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি ভালোবাসার কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ মার্চ কে প্রথম জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
১৯৯৬-২০০১ ক্ষমতাধীন থাকা কালীন।শিশুদের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। তাছাড়া এই দিবসটি শুধু বাংলাদেশের নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের মতো করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। তবে আন্তর্জাতিক ভাবে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয় ২০ নভেম্বর। এরকম বেশ কয়েকটি দিন শিশুদের জন্য শিশুদের অধিকার এবং শিশুদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে একেক দেশের একেক তারিখে হয়ে থাকে। যেমনঃ বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় ১৭ ই মার্চ, পাকিস্তানি শিশু দিবস পালন করা হয় ১লা জুলাই, চীনের শিশু দিবস পালন করা হয় ৪ঠা এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রে শিশু দিবস পালন করা হয় জুন মাসের দ্বিতীয় রবিবার এবং ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৩০শে আগস্ট। অন্যদিকে জাপানি শিশু দিবস পালন করা ৫ই মে এবং পশ্চিম জার্মানিতে শিশু দিবস পালন করা হয় ২০শে সেপ্টেম্বর।
যে তারিখে শিশু দিবস পালন করা হোক না কেন শিশু দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিশুদেরকে সচেতন হিসেবে গড়ে তোলা এবং শিশুদের অধিকার রক্ষা এর পাশাপাশি শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা মূলক বার্তা এবং ভবিষ্যতের জন্য শিশু অধিকার রক্ষা করা।
তবে বাংলাদেশের ১৭ই মার্চ শিশু দিবস ঘোষনা করার কারণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অপরিসীম আদর এবং স্নেহ দিয়েছেন। আর তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার শিশু দিবসের সরকারি ছুটি বাতিল করে দিয়েছিলেন। আর এজন্য ২০০২-২০০৮ সাল পর্যন্ত কোনো শিশু দিবস পালন করা হয়নি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ১৯শে জানুয়ারি শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন এবং এই দিনের সরকারী ছুটির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দিন হয় তখন আবার ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়েছে। এই দিনটি শিশু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মূল কারন হচ্ছে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি যে ১৭ মার্চ শিশু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অন্যরকম দরদ দেখাতেন।শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুরে ভালোবাসাকে ধরে রাখার জন্য এই দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। এই দিবসটি বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে অন্যতম একটি দিবস।