মোঃ জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার -ঃ জাতীয় গ্রীডে ত্রুটির কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ২০২২ তারিখ দুপুরের পর থেকে লোডশেডিং চলছে অনেক এলাকায়। কেউ কেউ এটাকে ব্লাক আউট হিসেবেও অভিহিত করছেন। বাংলাদেশ কয়কটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। দুপুরের পর থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৷ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা দুই সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের কর্তারা জানাচ্ছেন, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন গ্রীড ট্রিপ করার কারণেই কয়েকটি জেলায় এই বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে ৷ জাতীয় পাওয়ার গ্রীডে বিপত্তি দেখা দিতেই একের পর এক বিদ্যুৎ গ্রীড উপকেন্দ্র গুলো বসে যেতে থাকে ৷ এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিং জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় ৷ ব্লাক আউট বলতে বুঝায় কোন কারণে যদি ডিমান্ড অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায় বা সাপ্লাই কমে যায় তখন পাওয়ার স্টেশন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, সাবস্টেশনসহ পুরো গ্রীডের সেফটি সিস্টেম ট্রিপ করে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে,আমেরিকায় যা ৬০ হার্টজ। সে হিসেবে সাব ব্লাক আউট বলতে দেশের নির্দিষ্ট এলাকায় ব্লাক আউট এবং ব্লাক আউট বলতে পুরো গ্রিড ফেইল করাকে বোঝায়। যার অর্থ বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সী মিনিমাম ৪৮ এর নিচে নেমে গিয়েছে। ব্লাক আউট মুলত বিলিয়ন ডলার ইনফ্রাস্টাকচার কে বাচাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ট্রিপ করা। অনেকটা বাসা বাড়ির সার্কিট ব্রেকারের মতই একটি ব্যবস্থা। ঘরে যখন হুট করে আমরা একটি বাতি জ্বালাই, ফ্যান চালাই তার জন্যেও দেশের কোন না কোন বিদ্যুত কেন্দ্রের টার্বাইন একটু হলেও জোরে ঘুরে। তবে রাতের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।