1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ পঞ্চগড়ে আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগ সভাপতি ও তার ছেলে গ্রেফতার পঞ্চগড়ে চাকুরীচ্যুত বিডিআরদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন পঞ্চগড়ে তারুণ্যের উৎসবে ভিক্ষুকদের মাঝে ভ্যান ও দোকান প্রদান ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা কুলাউড়ায় প্রবাসী বাড়ির জমি দখলের চেষ্টা ও মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রংপুরে মোটরসাইকেলে অভিযান চালিয়ে ৫৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার গ্রেফতার ১ বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশ-বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার-০৪ সান্তাহারে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ছোট্ট ‘জীবনের’ চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন রংপুরের এসপি বিপ্লব কুমার সরকার।

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১
  • ৩৪১ ০৫ বার পঠিত

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধি -ঃ সারাদিন হাসি-দুষ্টুমিতে পাড়া মাতিয়ে রাখা ১০ বছরের ছোট্ট মাহমুদুল হাসান জীবন। হঠাৎ সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় তার একটি হাত। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার নির্ভত পল্লীতে দরিদ্র বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করান স্থানীয় কবিরাজের কাছে। কিন্ত ভাল হওয়ার বদলে পচন শুরু হয় হাতে। সেই পচন এখন ছড়াতে শুরু করেছে শরীওে বিভিন্ন অন্দ্রে।দরিদ্র পিতার ছোট্ট সন্তানটির জীবনের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মানবিক এই কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার জানান,স্থানীয় কবিরাজের চিকিৎসায় ভাল না হওয়ায় স্থানীয় স্কুলের নৈশপ্রহরী তার দাদা বিভিন্ন লোকের কাছে হাত পেতে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করান। কিন্তু ততদিনে হাতে পচন ধরে গেছে। সেই পচন ছড়িয়ে যাচ্ছে পুরো শরিরে।কিছুদিন চিকিৎসা করানোর পর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে একসময় চিকিৎসা শেষ না করেই বাড়িতে নিয়ে যায় জীবনকে ।
এ ঘটনা জানতে পেরে তাদের ডেকে পাঠান জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম। জীবন ও তার দাদার কাছে বিস্তারিত শুনে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।এ সময় জীবনের চিকিৎসার সকল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। এসময় তিনি ছোট্ট জীবনের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সাহস দেন। স্নেহ ও ভালােবাসায় সে আবারও উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে, নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখে। এই আন্তরিকতা আর ভালোবাসা দেখে জীবনের দাদু আনন্দে কেদে ফেলেন। এসময় জীবন ও তার দাদুর আনন্দ দেখে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সকলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ