তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ইলামদহী মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটরের দৌরাত্ম্যে স্কীমের কৃষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হলেও
অপারেটর তা মানছেন না। এসব কারণে
অপারেটরের অপসারণ, স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবিতে কৃষকেরা ডাকযোগে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইতিপুর্বে কৃষকগণের মতামতের ভিত্তিতে
অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার সুপারিশ করা হলেও অপারেটর তা মানছেন না। এ ঘটনায় স্কীমের কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা।
দুরুলকে অপসারণ করা না হলে সেচ নিয়ে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ৯৩
ইলামদহী মৌজায়, ২১৫ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর
দুরুল ইসলাম। কৃষকদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের
দাপট দেখিয়ে তিনি সেচ চার্জ আদায়ের নামে ও ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করেন। চাহিদা মতো টাকা না দিলে জমিতে নিয়মিত সেচ দেন না। এছাড়াও তিনি গভীর নলকূপের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব কাউকে দেন না বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় কৃষক রাশেদুল (৩৫), আবুল (৩০) ও সাদেকুল (৪০) অভিযোগ করে বলেন, সময় মতো সাধারণ কৃষকের ফসলের জমিতে সেচ দেয়া হয় না। অনেকক্ষেত্রে
তিনি জোরপূর্বক কৃষকের জমি মৌসুমি আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিতে বাধ্য করেন। আলুচাষিদের কাছে থেকে প্রতি বিঘা জমির ইজারা মুল্য ১৫ হাজার টাকা নেয়া হয়।কিন্ত্ত তিনি জমির মালিককে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপারেটর দুরুলের এক ঘনিষ্ঠ সহচর বলেন, অপারেটর হতে তার প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এসব টাকা উসুল করতে তিনি প্রতিবিঘা আলুচাষে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে সেচ চার্জ আদায় করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জমিতে সেচ দেয়া হয় না। এমনকি জমির ফসল কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর
দুরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তার কাছে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উঙ্খাপন করেছে। তিনি বলেন, তার গভীর নলকুপ রি-বোরিং করা হয়েছে, তাই বোরিং খরচসহ গত বছর প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ নেয়া হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা করে। এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত সেচ চার্জের অতিরিক্ত টাকা নেয়া যাবে না। তিনি বলেন সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#