1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়ন সহ ৯ দফা দাবিতে অনশনে. ডিসির আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার। পঞ্চগড়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  সুজাসার প্রবাসী সংঘের উদ্যোগে ৩ কিলোমিটারে ৪০টি এলইডি লাইট সিসি ক্যামেরা স্থাপন পঞ্চগড়ে সাবেক রেল মন্ত্রীর তিন দিনের রিমান্ড পঞ্চগড়ে সমতলের অর্ধেক চা যায় না নিলাম বাজারে ভোটের সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সরাসরি সম্পৃক্ত – পঞ্চগড়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ রাজধানীর দুই পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে প্রায় ৬ঘন্টা পর ঘরে ফিরলেন আন্দোলনকারীরা পঞ্চগড় বিচারকের অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ,  আল্টিমেটাম পুরান ঢাকার মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার

গলাচিপায় রেকর্ডীয় জমির মুখসায় তরমুজ চাষ করে বিপাকে তরমুজ চাষী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪৫ ০৫ বার পঠিত

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় রেকর্ডীয় জমির মুখসায় তরমুজ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন তরমুজ চাষী মো. জাকির হোসেন (৪৭)। মো. জাকির হোসেন হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চরসুহরী গ্রামের মো. সুরত আলীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন জেলে হলেও নদীতে মাছ না থাকায় এবং বিভিন্ন সময় মাছ ধরায় অবরোধ থাকায় বিকল্প পদ্ধতিতে জীবিকার সন্ধানে নিজ রেকর্ডীয় জমিতে মৌসুমী ব্যবসা তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেন।

রেকর্ডীয় জমিতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি জমির কোল ঘেষে জমির মুখসায় নদী। জোয়ারের সময় নদীর পানি জাকির হোসেনের রেকর্ডীয় জমিতে প্রবেশ করলে সম্পূর্ণ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। এই ভেবে জমির মাথায় জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করলে কতিপয় কুচক্রী মহল তার তরমুজ চাষে বাধা প্রদান করে আসছে। এ বিষয়ে অসহায় জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন জেলে। নদীতে এখন আগের মত মাছ না থাকায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি। তাই আমার কিছু জমি আছে। অন্য মানুষের কাছ থেকে কিছু জমি একসোনা নিয়ে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ক্ষেতটি পরিচর্যা ও তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করি। কিন্তু কিছু লোক এসে আমাকে জমি চাষে বাধা প্রদান করে। আমি যদি এই জমি চাষ না করতে পারি তাহলে করোনাকালীন সময় এবং পরে বিভিন্ন মানুষ ও এনজিওর কাছ থেকে ঋণ শোধ করতে পারব না। এতে আমার বাঁচার আর কোন পথ থাকবে না। আমার জমির সাথেই আমার দখলে সামান্য কিছু খাস জমি রয়েছে। ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করে জমিটি আমি ভোগ দখল করছি এবং ডিসিআর নেব। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. দুলাল প্যাদা বলেন, আসলেই জাকির হোসেন গরিব জেলে মানুষ। সে তরমুজ চাষে উৎসাহী হওয়ায় আমরা আনন্দিত। যাতে তরমুজ চাষ করে সে তার ঋণ পরিশোধ করতে পারে। গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হালিম হাওলাদার বলেন, জাকিরের সংসার বড় থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে আছে। ওর একার আয়ে ৪/৫ জন লোক চলে। জাকির তরমুজ চাষ করে সফল হলে ভালোভাবে বাঁচতে পারবে। গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, জাকির হোসেনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তার মত ইউনিয়নের সবাই বেকার না থেকে কর্ম করলে এলাকার উন্নয়ন হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ