তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দুরদর্শীতা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মৎস্য, জনস্বাস্থ্য, ঋণ প্রণোদনা প্রাণী সম্পদ ও বিদ্যুৎখাতে অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদ ১৫ বছরে নির্বাচনী এলাকায় মৎস্য, জনস্বাস্থ্য, ঋণ প্রণোদনা প্রাণী সম্পদ ও বিদ্যুৎখাতে অর্জিত উন্নয়ন মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে।
জানা গেছে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে মোট ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার মৎস্যজীবী উপকারভোগীর মাঝে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ১৮টি প্রকল্পের আওতায় ৭৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মানুষদের স্বাবলম্বী করার জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ হাজার গরু-ছাগল-ভেড়া ও হাঁস-মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। এসব প্রাণীর চিকিৎসা এবং প্রণোদনায় টিকা, ওষুধ, উপকরণ ও প্রশিক্ষণে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে প্রাণী সম্পদ ও মাছের উৎপাদন বেড়েছে। বিগত ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে উপজেলায় মাছের উৎপাদন ছিল ২১ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন।অথচ আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ৫৩ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন।
অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে
মোট ১৩ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। উপজেলায় ১০ হাজার মানুষের মাঝে সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৯৮০টি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনে ১০ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয করা হয়েছে। এছাড়াও একশ’টি পরিবারকে স্যানিটেশন উপকরণ বিতরণে ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অন্যদিকে ৩৭২টি তারা নলকুপ স্থাপনে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১টি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ ও ২৯টি চলমান রয়েছে। বিগত ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ছিল ৫৫ শতাংশ। অথচ আওয়ামী লীগের ৩ মেয়াদ ১৫ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।
ঋণ প্রদান ও প্রণোদনা মোট ব্যয় ৯৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। সহজ শর্তে ঋণ প্রদান কর্মসূচি ( পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও যুব উন্নয়ন) ৪৫ হাজার ৭৩২টি প্রকল্পে ৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এতিমদের সহায়তা প্রকল্পে ৫৩ জন উপকারভোগীর বিপরীতে দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ওদিকে ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প ও বিবিধ প্রণোদনায় ৪২৭ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
বিগত ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এসব প্রকল্প ছিলো না। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মহিলা, যুব ও প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগে নতুন সংযোজন গ্রাহক সংখ্যা ৫৫ হাজার। এক হাজার কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মান করা হয়েছে এবং বিদ্যুত সরবরাহ ৪০ মেগাওয়াট।
বিগত ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর হার ছিলো ২৮ শতাংশ। অথচ আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে বেড়ে দাড়িয়েছে শতভাগ। এখন প্রশ্ন হলো যে জাতি উপকারীর উপকার শিকার করে না,তারা অকৃতজ্ঞ। আর অকৃতজ্ঞদের ধ্বংস অনিবার্য। সচেতন মহলের অভিমত, আওয়ামী লীগ সরকারের উপকার শিকার ও কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা এসব মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।