মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চাকুরীচ্যুত বিডিআর যাদেরকে ২০০৯ সালে চাকুরীচ্যুত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে সেসব বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
পিলখানায় নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকান্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিন্হিত করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল বিডিআর সদস্যের সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাসপ্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবি ও প্রহসনের ১৮টি স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে গনহারে গ্রেপ্তার করে যাদেরকে অন্যায় ভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা (রেশন, বেতন,পদোন্নতি) সহ পুনরায় চাকুরীতে পূর্নবহাল বা যোগদান করা এবং তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং নির্ভয়ে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ২ এর ঙ ধারা অবশ্যই বাদ দেয়ার দাবি নিয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে হাবিলদার মাহবুব আলম, গন অধিকার পরিষদের পঞ্চগড় জেলা আহবায়ক মাহফুজুর রহমানসহ চাকুরীচ্যুত বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বিডিআর ট্রেনিং সেন্টারের অধীনে ১৫৩ জন বিডিআরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ১৮ হাজার বিডিআরকে চাকুরীচ্যুত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। প্রজ্ঞাপন জারি করে ১৮ টি স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
তারা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পরে বিডিআরের সাথে ভারতের বিএসএফরা কোন সময়ের জন্য খন্ড খন্ড যুদ্ধে পেরে উঠতে পারেনি তাই ভারত সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সহযোগিতা নিয়ে শেখ হাসিনা বিডিআর হত্যাকান্ডের মাষ্টারপ্লান করে।