1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে সাবেক রেল মন্ত্রীর তিন দিনের রিমান্ড পঞ্চগড়ে সমতলের অর্ধেক চা যায় না নিলাম বাজারে ভোটের সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সরাসরি সম্পৃক্ত – পঞ্চগড়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ রাজধানীর দুই পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে প্রায় ৬ঘন্টা পর ঘরে ফিরলেন আন্দোলনকারীরা পঞ্চগড় বিচারকের অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ,  আল্টিমেটাম পুরান ঢাকার মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার সহকারী শিক্ষকদের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত স্কুলে পাঠদান ব্যহত নেকড়ে আতঙ্কে লালমনিরহাট লামায় জীনামেজু অনাথ আশ্রমে কম্বল বিতরণ করেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ আর নেই

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ৩৬২ ০৫ বার পঠিত

অনলাইন বার্তা -ঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ আর নেই। শনিবার সকালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সাহাবুদ্দীনের জামাতা অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাহাবুদ্দীন আহমদের দুই ছেলে গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
নব্বইয়ের আন্দোলনে স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের নাটকীয়তার মধ্যে আকস্মিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
এরশাদ পদত্যাগ করার পর রাষ্ট্রপতির পদে কে আসবে, নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো একমত হতে পারছিল না। পরে প্রধান বিচারপতিকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে ফেরার শর্ত দিয়ে সাহাবুদ্দীন আহমদ তাতে রাজি হন।
মওদুদ আহমেদ উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে সেই দায়িত্বে আসেন সাহাবুদ্দীন। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে সাহাবুদ্দীন হন রাষ্ট্রপতি। পরে তার নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
নির্বাচনের পর আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফেরেন তিনি। তার সেই ফেরার জন্য দেশের সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। চাকরির মেয়াদ শেষে ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন। 
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ।

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ; তিনি একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। শাহাবুদ্দিন নান্দাইলে তার বোনের বাড়িতে বড় হন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ